গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফের পরিবারের উপর দুই দফা হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং তাঁর ছেলে মো. মিরানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার চালের বস্তা এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকার গ্যাস সিলিন্ডার লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার পর দোকানে আসবাবপত্র বের করে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে সারাদেশে আনন্দ মিছিল করেন ছাত্রজনতা। একইভাবে সারা দেশের ন্যায় চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকায় এ আনন্দ মিছিল নিয়ে বের হন ছাত্রজনতা। ছাত্রদের মিছিল শেষ করে চলে যাওয়ার পর একদল দূর্বৃত্ত জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের ছেলে মিরানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একইভাবে পরের দিন ৬ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় হামলা করে দোকানে রক্ষিত যাবতীয় চালের বস্তা নিয়ে যান ওই হামলাকারীরা।
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের ছেলে মো. মিরান বলেন, আমার বাবা ৭১ এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। এটা হল আমাদের পরিবারের অপরাধ। তা নাহলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে কেন হামলা চালানো হয়েছে? তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর চালিয়ে চালের বস্তা ও সিলিন্ডার লুটপাট করে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে। এছাড়া আমার অপর ভাই মোঃ শাহাজানের ফার্ণিচারের দোকানে হামলা চালিয়ে অন্তত ৮লক্ষ টাকার ফার্ণিচার লুট করে নিয়ে যায়৷ চোখের সামনে এসব ঘটনা ঘটলেও বাধা দেওয়ার কোনো উপায় ছিলো না। কারণ ওইসময় তারা আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে টার্গেট করে হামলা করেন। কেউ বাধা দিলে তাদেরও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লুটপাট শুরু করেন। তখন হামলাকারীদের হুমকিতে আমরা অনেকটা অসহায় ছিলাম। এমনকি এর পরের দিন ৬ আগষ্ট ফের হামলা চালান ওই সব দূর্বৃত্ত। এমতাবস্থায় আমিসহ আমার বৃদ্ধ মা ও পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চার ভাই এখন তাঁদের ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়ে আছি। জানি না আমার মা কেমন আছেন, আমার বসত-বাড়ির কী অবস্থা। কারণ, দূর্বৃত্তদের হুমকির কারণে আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না। আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি, সরকার প্রধান ও সেনাপ্রধানসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এমন নির্মমতার সঠিক বিচার দাবি করছি।